OrdinaryITPostAd

প্রতিদিন ব্যায়াম করলে কি হয় জানতে পড়ুন

প্রতিদিন ব্যায়াম করলে কি হয় সম্মানিত পাঠক আজকে এ সম্পর্কে আপনার সামনে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। প্রতিদিন ব্যায়াম করার ফলে অনেক পজিটিভ পরিনতি ঘটে। নিয়মিত শরীফ চর্চা আপনার মন ভালো থাকারও একটা উপায়। 
প্রতিদিন-ব্যায়াম-করলে-কি-হয়
প্রতিদিন ব্যায়াম করলে কি হয়
তবে ব্যাপারটি মনে রাখা জরুরী যে এই ব্যায়ামটা যেন দৈনন্দিন নিয়মমাফিক এবং সময় করে স্বভাবে পরিণত করা হয়। ব্যায়াম করার অনেক উপকারিতা এবং কিছু অপকার ও রয়েছে। চলুন শুরু করা যাক নিম্ন বিবরণ গুলিতে ব্যায়াম সম্পর্কে সবিস্তারে আলোচনা করার প্রয়াস করি।

পোস্ট সূচীপত্রঃ প্রতিদিন ব্যায়াম করলে কি হয় বিষয়টি বিস্তারিত জানুন

প্রতিদিন ব্যায়াম করলে কি হয়

প্রতিদিন ব্যায়াম করলে কি হয় এই তথ্যটি এইভাবে বলব যে প্রত্যেকদিন ব্যায়াম করার ফলে শারীরিক এবং মানসিক অনেক পজিটিভিটি আসে যেগুলি নিম্নে তালিকাভুক্ত করা হলো।

শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতিঃ ব্যায়াম করা শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর সাথে সাথে মধুমেহ (মধুমেহ হচ্ছে ডায়াবেটিসের অপর নাম) ও রক্তচাপের ঝুঁকি কমানোতে সাহায্য করে।

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিঃ নিয়মিত ব্যায়াম করাটা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ও খুব ভালো। এটি বিষাদ, চিন্তা, উদাসীনতা ইত্যাদির মধ্যে সামগ্রীভূত সুস্থতা তৈরি করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্যঃ প্রত্যহ ব্যায়াম করা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং স্বাস্থ্যগত অসুবিধা যেমন অবসাদ, ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশন ইত্যাদি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ রাজশাহীর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেন্টার অর্ডিনারি আইটি

শারীরিক ক্ষমতা ও ফিটনেস উন্নতিঃ নিয়মিত ব্যায়াম করা শারীরিক ক্ষমতা এবং ফিটনেস এর উন্নতির জন্য শারীরিক শক্তি এবং টোন বাড়ানোর সাথে সাথে লম্বা সময়ের শারীরিক প্রচন্ডতা ও ক্ষমতা বাড়ায়।

বেশি শক্তি এবং চমৎকার নিউরো ট্রান্সমিটার বিতরণঃ ব্যায়ামের ফলে শরীরের বেশি শক্তি অনুভব করা যায় এবং চমৎকার নিউরো ট্রান্সমিটার বিতরণে একটি সুস্থ স্তর বজায় রাখে।

অতিরিক্ত শক্তিও জ্বালানিঃ ব্যায়ামের ফলে শরীর অতিরিক্ত শক্তি অনুভব করে যা প্রতিদিনের কর্মকাজে সাহায্য করে। এটি আপনার জ্বালানি ও কাজের দক্ষতা বাড়ায়।

এই সমস্ত পজিটিভ ফলাফলগুলি প্রতিদিন ব্যায়াম করলে কি হয়  এই প্রশ্নের সত্যিকার অর্থে বাস্তবায় হবে, তবে ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে হবে যে শরীরচর্চা বা ব্যায়ামটা যেন নিয়ম-তান্ত্রিকভাবে করা হয় এবং ব্যায়ামটাকে স্বভাবে রূপান্তর করা হয়।

ব্যায়াম না করলে কি হয় 

ব্যায়াম না করলে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যে অনেক অবনত হয়। এটি আপনার জীবনের প্রতিটি দিনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে গণ্য হতে পারে এবং অনেক সমস্যা ও প্রতিকূলতা সৃষ্টি করতে পারে। নিম্নলিখিত কিছু অসুস্থতার ঝুঁকি রয়েছে যদি আপনি ব্যায়াম না কর।

ওজন বৃদ্ধি এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের সমস্যাঃ ব্যায়াম না করার কারণে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের সমস্যা হতে পারে। এটি অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকিঃ নিয়মিত ব্যায়াম না করলে হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ব্যায়াম না করলে কোমরের সামান্য মাত্রায় চর্বি সংগ্রহ হয় এবং কোমর ব্যথা ও কোমর অসুস্থ হতে পারে।

মানসিক অসুস্থতাঃ ব্যায়াম না করার ফলে মানসিক অসুস্থতা বৃদ্ধি হতে পারে। যেমন অবসাদ, বিষাদ, চিন্তা ইত্যাদি। ব্যায়াম মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে রেখে এটি নিজেকে বিনা প্রযুক্তিতে নিজের সাথে ভালো অনুভব করতে সাহায্য করে।

শারীরিক দক্ষতা ও ফিটনেছে কমতি হতে পারেঃ ব্যায়াম না করার জন্য শারীরিক দক্ষতা এবং ফিটনেসে অনেক অবনতি অনুভব করা হয়। অতি কঠিন বস্তুর প্রয়োগ করার কারণে শারীরিক ক্ষমতা কমে যেতে পারে এবং এটি ব্যায়াম না করার পর অস্বস্তি হতে পারে।

অল্প উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যাঃ শারীরিক সমস্যা নিয়মিত ব্যায়াম না করার পর অল্প উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

এই অবস্থায় পরামর্শ দেওয়া হয় যে ব্যায়ামের প্রতিটি দিন নির্ধারণ করে এবং ব্যায়াম নিয়মিত করতে হবে যাতে আপনি আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে পারেন।

প্রতিদিন কি কি ব্যায়াম করা উচিত

প্রতিদিন ব্যায়ামের জন্য একটি সম্পূর্ণ সেশন অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে আবার এটি আপনার শারীরিক ক্ষমতা, স্ট্রেন্থ বৃদ্ধি, এবং মানসিক সামর্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে। কিছু প্রতিদিন ব্যায়ামের উদাহরণ দেওয়া হল নিম্নে।

হাঁটাঃ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় করে হাঁটা উচিত। এটি শারীরিক সক্রিয়তা বাড়ানোর সাথে সাথে মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সহায়তা করে।

যোগাসন ও প্রাণায়ামঃ যোগাসন ও প্রাণায়াম করা শারীরিক এবং মানসিক শাস্তির জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এটি বাস্তবে শান্তি এবং স্বাস্থ্যের দুর্বলতা দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে।

ভারী কাজ করাঃ সময় করে ভারী কাজ করলে অনেক উন্নতি হতে পারে। কিছু লোক কোচিং ও ফিটনেসাগার যেখানে ব্যায়াম করা হয় এটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। এটি প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তিগত শারীরিক ক্ষমতা ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।

সাইকেল চালানোঃ সাইকেল চালানো একটি অসাধারণ উপায় যার মাধ্যমে আপনি শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারেন।

সার্কিট ট্রেনিংঃ এটি একটি ইনটেন্সিভ এবং প্রভাবী ব্যায়াম পদ্ধতি যা শারীরিক ক্ষমতাকে সামগ্রিক এবং পরিষ্কারভাবে কাজ করে।

স্কোয়াট ও লং জাম্পঃ এই ব্যায়ামগুলি পায়ের ক্ষেত্রে স্ট্রেন্থ বাড়াতে খুবই সাহায্য করে এবং ক্ষুদ্র পায়ের মাংসপেশিগুলি অনেক শক্ত হতে নিশ্চিতভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।

এই ব্যায়ামের প্রতিটি ধাপ আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করার জন্য সাহায্য করে। তবে আপনার ক্ষেত্রে সম্মানিত পেশাদার পরামর্শকারী বা ফিটনেস ট্রেনার এর সাথে আলোচনা করাটা সুবিধা জনক হতে পারে, যাতে আপনি নিজের প্রোফাইলে সেট করা হৃদয় প্রান্তে অনুমোদিত ব্যায়াম সেশন গুলি করতে পারেন।

সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা 

সকালে ব্যায়াম করা একইবারে উপকারী এবং প্রভাবশালী হতে পারে। কারণ, এটি আপনার সারপ্রাইজ কার্ড হতে পারে, যেখানে আপনি দিনের শুরু করার সময়টা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য তৈরি করে দিবেন। এমনি কিছু সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো।

শরীর সক্রিয় করাঃ সকালে ব্যায়াম করা আপনার শরীরকে সক্রিয় করে তুলে এবং এই সক্রিয়তা জের ধরে আপনার দিনের বাকি অংশ কেমন যাবে এটি আরও সক্রিয় থাকার জন্য আপনার শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

মানসিক স্থিতিশীলতাঃ সকালে ব্যায়াম করা আপনার মনকে প্রফুল্ল করে তুলে এবং মানসিক স্থিতিশীলতা বাড়ায় যেটি আপনার দিনের বাকি অংশে আরো জ্বালানি ও দৃঢ়তা প্রদান করে। 

দিনের শুরু করার জন্য প্রোটিন প্রোডাকশনঃ সকালে ব্যায়াম করা আপনার দিনের শুরুতে আপনার শরীরকে প্রোটিন প্রোডাকশন দিয়ে বাড়ায় যা শরীরে আপনার পেটে রয়েছে এবং আপনার শারীরিক যন্ত্রণা বা ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

সকালে-ব্যায়াম-করার-উপকারিতা
সকালে ব্যায়াম করার উপকারিতা

শরীরের ড্যামেজ রিপেয়ার স্পিড বাড়ানোঃ সকালে ব্যায়াম করা আপনার শরীরের ডেমেজ রিপেয়ার স্পিড বাড়ায় যাতে শরীরের অংশ সঠিকভাবে সুস্থ থাকে।

নিয়মিত ব্যায়াম প্রচুর সুস্থ হৃদয় এবং ডায়াবেটিস রিস্ক কমায়ঃ সকালে ব্যায়াম করা আপনার হৃদয়ের সুস্থতা বজায় রেখে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

রাতের জন্য গভীর ও আরামদায়ক ঘুমঃ সকালে ব্যায়াম করা আপনার শরীরের ক্ষেত্রে গভীর ও আরামদায়ক ঘুম প্রদান করে যা আপনার দিনের অবশিষ্ট সময়ে আরো জীবন্ত এবং কর্মশীল থাকার জন্য সহায়ক।

সকালে ব্যায়াম করা আপনার জীবনের প্রথম অংশ হতে পারে, যেটা আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে তুলে। আপনি চেষ্টা করুন, যাতে আপনি আপনার পছন্দের সময়ে সকালে ব্যায়াম করতে পারেন এবং এটি আপনার জীবনের একটি প্রাথমিক শ্রেষ্ঠ অংশ হতে পারে।

সকালে কি কি ব্যায়াম করা উচিত

সকালে ব্যায়ামের জন্য আরো কিছু প্রয়োজনীয় সহজলভ্য ব্যায়াম রুটিন রয়েছে যে আপনি করলে আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকার করতে পারে।

সুতা কাটাঃ আপনি আপনার সুতা কাটতে পারেন যা আপনার হৃদয়ের উন্নতির কাজকর্মের জন্য অনেক লাভজনক হতে পারে। আবার এটি আপনার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং শরীরের মজবুতিও বাড়ায়।

জলপানঃ ব্যায়াম শুরু করার আগে সঠিক পরিমাণে পানি পান করা উচিত, এটি আপনার শরীরে হাইড্রেশন বজায় রাখতে সহায়ক এবং শারীরিক কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়।

স্ট্রেচিং ও ফ্লেক্সিং ব্যায়ামঃ স্ট্রেচিং এবং ফ্লেক্সিং ব্যায়াম করা আপনার মাংসপেশির স্থিতিশীলতা ঠিক রাখে বা কাঠিন্যতা দূরীকরণের জন্য উপকারী হতে পারে।

বেডে থেকে নামার পর তরান্বিত হাঁটাঃ আপনি বেডে থেকে নামার পর কিছুটা ত্বরান্বিত হাঁটা এই কাজটা করতে পারেন যেটা আপনার শরীরকে স্বচ্ছ করে তুলে আনে এবং শরীরের পূর্ণ সক্রিয় হওয়ার জন্য সাহায্য করে।

তালু উঠানামাঃ আপনি তালু উঠানামার ব্যায়াম করতে পারেন এইভাবে যে সামান্য তালু উঠাতে পারেন এবং নামাতে পারেন যেটা আপনার পা এবং তালুর মাংসপেশির স্থিতিশীলতা বাড়াতে সহায়তা করে।

এই ধরনের সহজ ব্যায়ামগুলি আপনার সকালের প্রথম অংশে সম্পন্ন করতে পারেন, যাতে আপনি সঠিকভাবে শরীরের কার্যক্ষমে আগ্রহী হোন। আপনি চেষ্টা করুন, যাতে ব্যায়াম আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে।

সবচেয়ে উপকারী ব্যায়াম

ব্যায়ামের উপকারিতা ব্যবহারকারীর লক্ষ্য, পরিস্থিতি, স্বাস্থ্য, অবস্থা এবং আগের অভ্যন্তরীণ অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে। তবে কিছু ব্যায়াম উল্লেখযোগ্যভাবে প্রতিটি ব্যবহারকারীর জন্য উপকারী হতে পারে।

স্কোয়াটঃ একটি প্রভাবশালী ব্যায়াম যা শরীরের নিচের অংশ বাড়িয়ে তুলতে বা সম্প্রসারিত করতে এবং পা, জা, মডিউলার মাংসপেশী, হামস্ট্রিং, হাইপ্স, কুঁজো, ওজন হাইলাইট, বাইসেপ্স, ও ট্রাইসেপ্সের এর মাংস বেশি সঠিকভাবে প্রসারিত করে।

ডেডলিফটঃ এটি পেট, মাথা এবং পিছনের মাংসপেশি চামড়াকে সঠিকভাবে মজবুত করে এবং অসংখ্য স্থানে স্ট্রেঞ্জ মাংসপেশীগুলির সংরক্ষণ করে।

পুশ-আপঃ এটি স্থানীয় এবং সামগ্রিক শরীরের সাহায্যের জন্য উপকারী। পুশ-আপ শারীরিক অবস্থান, মধ্যামার্ধ, মুখের উপরের মাংসপেশী, ট্রাসেপ্স, বাইসেপ্স, দমন, মাংসপেশী এবং অনেক আরো কাজ করে।

পুলা-আপঃ এটি স্থানীয় এবং সামগ্রিক মাংসপেশির সংক্রান্ত সংস্কৃতি এবং শক্তির জন্য উপকারী হতে পারে। এটি ডেডলিফট এবং লেজ প্রেসের সাথে সমন্বয়ে কাজ করে।

বেঞ্চ প্রেসঃ বেঞ্চ প্রেস মুক্ত ওজন ব্যবহার করে মাংসপেশীর উন্নতির জন্য খুবই উপকারী। এটি ছাতি, দমন মাংসপেশী, ট্রাইসেপ্স, শোল্ডার, ট্রাপিজিয়াম এবং আঁটাচিত মাংসপেশী উন্নত করে।

এই ব্যায়ামগুলি সাধারণভাবে অনেকের জন্য উপকারী হতে পারে এবং এগুলি শরীরের প্রায় সব অংশে প্রভাব ফেলে। তবে ব্যবহারকারীর শরীরের অবস্থা, পরিস্থিতি এবং লক্ষ্যের সাথে মেলানোর জন্য ব্যায়ামের পদ্ধতি উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। সর্বশেষে ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্য অনুসারে ব্যায়ামের পদ্ধতি নির্বাচন করা উচিত।

ব্যায়াম করার অপকারিতা

ব্যায়াম করার অপকারিতা বা সংবেদনশীলতা শরীরের যান্ত্রিক এবং মানসিক অবস্থার অবলম্বনে প্রতিকূল ফলাফল সৃষ্টি করতে পারে। তবে এই অবস্থাগুলি সাধারণত অত্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী বা অত্যন্ত ব্যস্ত শরীরে ব্যায়াম করার কারণে হতে পারে কিছু প্রধান ব্যায়ামের অপকারিতা নিম্নে উল্লিখিত হলো

ক্ষতিগ্রস্ত হৃদয় স্বাস্থঃ অতিরিক্ত শ্রমের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হৃদয় স্বাস্থ্যের সমস্যা উৎপন্ন হতে পারে যেমন অতিরিক্ত জীর্ণ এ্ররেবিয়াস্কুলার বা হৃদরোগ।

মাংসপেশী আঘাত ও জন্ডিসঃ অতিরিক্ত লম্বা ব্যায়ামের পরিমাণ এর অত্যন্ত বৃদ্ধির ফলে মাংসপেশী আঘাত এবং জন্ডিস এর মতো সমস্যা উৎপন্ন হতে পারে।

হৃদরোগঃ যেমন প্রযুক্তিগত ক্যালিস্টেনিক্স বা ভারী ওজন নিয়ে পুরো শরীরের ভার বহন করা তা হৃদয়ের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

মাস্কুলার আভ্রেশন বা ক্ষতিঃ যখন আপনি একটি ব্যায়ামের পরিমাণ বা মাত্রা অতিরিক্ত করেন তখন মাংসপেশী আভ্রেশন বা ক্ষতির জন্য প্রাকৃতিক সংক্রমণ হতে পারে।

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাঃ অতিরিক্ত শ্রমের ফলে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা হতে পারে যেমন মানসিক চাপ, অব্যাহতি, অবস্থা, উপাত্ত ইত্যাদি

এই অপকারিতাগুলি সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত এবং পরামর্শ গ্রহণ করে অতিরিক্ত পরিমাণে শ্রম এবং চাপ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে আপনার শরীরের স্বাস্থ্যের সাথে জটিল সম্পর্কে চিকিৎসকের সাথে আলাপ করুন, যদি আপনি ব্যায়াম করার কারণে কোন অসুস্থ অবস্থার মোকাবেলা করেন।

ব্যায়াম করার সঠিক সময়

ব্যায়াম করার সঠিক সময় তা ব্যক্তিগত পছন্দ, পরিস্থিতি এবং লক্ষ্যের উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণত মানুষজন নিম্নলিখিত সময় গুলিতে ব্যায়াম করার সুপারিশ করে।

 সকালেঃ সকালে ব্যায়াম করা আপনার দিনটি সুন্দরভাবে শুরু করতে সাহায্য করতে পারে এবং আপনার মানসিক শারীরিক অবস্থাকে উৎসাহিত করতে পারে। এটি আপনার দিনের জন্য শক্তি এবং চেষ্টা করতে খোরাক যোগায় এবং পরবর্তী কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। 

দুপুরেঃ দুপুরে মাধ্যমিক ব্যায়াম দুপুরে আপনাকে দিনের মধ্যে আরাম এবং ফিট থাকার জন্য সাহায্য করতে পারে। আপনি যে সময়টি বেশি খুব সুখ প্রাপ্ত মনে করেন, তার সম্পূর্ণ আপনার মন এর ভালো লাগার বিষয় যেটি আপনার চিত্তের সিদ্ধান্ত অনুসারে বিশেষভাবে ভালো হতে পারে।

সন্ধ্যায়ঃ সন্ধ্যায় ব্যায়াম করা আপনার দিনের প্রতিটি কাজের চেষ্টা-শ্রম সমাপ্ত করতে এবং আপনার শরীরকে স্বাধীনভাবে থাকতে সাহায্য করতে পারে। এটি আপনার দিনের জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় শান্তি এবং আরাম প্রদান করতে পারে।

প্রতিটি সময়ের প্রতিষ্ঠান এবং প্রভাবের উপর নির্ভর করে কিছু মানুষ সকালে ব্যায়াম করা সুপারিশ করে, যেখানে অন্য কোন লোক দুপুরে বা সন্ধ্যায় ব্যায়াম করার পদক্ষেপ নেয়। তবে সহজ এবং সংগীতমুক্ত সময়ে ব্যায়াম করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পরীক্ষিত পদক্ষেপ হতে পারে। 

মোটামুটি, সপ্তাহের প্রতি দিন বা তিন দিন ব্যায়াম করা প্রশাসনশীল হতে পারে, তবে আপনার শরীরের সাথে যায় এমন বিষয় নিশ্চিত করা দরকার। যেকোনো সময়ে ব্যায়াম করার মূল্য তা ব্যক্তিগত পছন্দ পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্য অবস্থা অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে। আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ এবং শরীরের প্রতিক্রিয়া ভিত্তিতে একটি ব্যায়াম সময়সূচী পরিকল্পনা করা উচিত।

যোগ ব্যায়ামের উপকারিতা

যোগ ব্যায়ামের উপকারিতা অনেকগুলি রয়েছে, যা শারীরিক-মানসিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারী বিষয়গুলি নিম্নে উল্লেখিত হলো।

 শারীরিক লাভঃ যোগ ব্যায়াম শারীরিক লাভের জন্য উপকারী। এটি মাংসপেশীর সঙ্গে যুক্তিসঙ্গত স্ট্রেচিং, শরীরের সামান্য দাবীকর ক্রিয়া এবং মাসকুলার স্ট্রেঞ্জ প্রদান  করতে সহায়ক।

 মানসিক স্থিতিশীলতাঃ মানসিক সান্তনা এবং মনোযোগের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে সাহায্য করে এবং মেডিটেশন এর মাধ্যমে মনের শান্তি এবং সাম্যের অনুভূতি তৈরি করে।

 শারীরিক সুস্থতাঃ যোগ ব্যায়াম শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং অন্যান্য চিকিৎসা সাধারণভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ রমজান মাসের গুরুত্ব

শ্বাসবাহী যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ যোগব্যায়াম কার্বন ডাই অক্সাইড মুক্ত হতে সাহায্য করে এবং শ্বাসবাহী যন্ত্র সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত করে, যা স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য গুরত্বপূর্ণ।

শারীরিক দক্ষতা এবং চমৎকারিঃ যোগ ব্যায়াম তাল ত্রাট ও শারীরিক দক্ষতা উন্নত করে যেটা আপনাকে শারীরিক কাজের দক্ষতা দেয়।

স্বাস্থমুলক অবস্থাঃ যোগ ব্যায়াম স্বাস্থমুলক অবস্থা বজায় রাখে এবং শারীরিক মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে সংগীত হতে সহায়ক।

দীর্ঘ জীবন ও প্রতিশ্রুতির সাথে মিলিতঃ যোগব্যায়াম দীর্ঘ জীবন এবং প্রতিশ্রুতির সাথে মিলিত এবং জীবনের পরিস্থিতি উন্নত করে।

এই উপকারী সুবিধাগুলির সাথে শারীরিক মানসিক এবং মানসিক শাস্থের উন্নতির জন্য একটি ব্যবহারযোগ্য পদক্ষেপ। এটি স্বাভাবিক ও সহজ পদক্ষেপ যা প্রায় প্রত্যেকের জীবনে যোগ করা যায়।

লেখকের শেষ মন্তব্য

প্রতিদিন ব্যায়াম করলে কি হয় বিষয়টি উপরোক্ত আর্টিকেলে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও, আরো ব্যায়ামের উপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিকগুলো আলোচনা করেছি। সম্মানিত পাঠক, আপনি যদি উল্লিখিত আর্টিকেল বা ব্লগটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন, তাহলে আশা করা যায় যে আপনি ব্যায়াম সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। ব্যায়মা বা শরীর চর্চা করা শরীর এবং মন দুটোকেই সুন্দর এবং সুস্থ রাখে। আরো এ রকম নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সিফাতুল্লাহ্‌ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url