গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয়?
তাই গর্ভবতী মা জননীকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এবং গর্ভবতী মায়ের স্বামী বা তার আত্মীয়-স্বজনকে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। তো চলুন দেরি কিসের শুরু করা যাক যে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে একজন মায়ের কি ক্ষতি হতে পারে বিষয়টি জানার চেষ্টা করি।
পেজ সূচীপত্রঃ গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয় বিষয়টি জানুন।
- গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয়?
- গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কমানোর উপায়?
- গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের লক্ষণ
- গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ডায়েট চার্ট
- গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত থাকা উচিত?
- ডায়াবেটিস হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায়
- গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কেন হয়?
- গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
- ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন কত নিতে হয়?
- পুরুষের ডায়াবেটিস হলে কি সন্তান হয়?
- লেখকের মন্তব্য
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয়
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয় এ ব্যাপারটি এখন আপনাকে বলব। গর্ভ অবস্থায় শিশুর বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে, বিশেষ করে শিশুর তার মায়ের পেট থেকে জন্ম নেওয়ার সময় সে সমস্যার ঝুঁকিটা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেতে পারে। যেমন-
প্রান্তিক বা প্রস্রাব তন্ত্রে সমস্যাঃ গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে শিশুর প্রান্তিক বা প্রসাব তন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয় যা জন্মের সময় এই সমস্যাগুলো আরো তীব্রভাবে উৎপন্ন হতে পারে।
শিশুর ওজনে সমস্যাঃ গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়াবেটিস হলে একজন শিশুর ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকিতে আক্রান্ত হতে পারে, যা ওই শিশুটি র জন্মের পরে স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
নিউটিউট্রিশনাল সমস্যাঃ গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়াবেটিস হলে শিশুর নিউটিউট্রিশনাল সমস্যা হতে পারে, যা ঐ শিশুর স্বাস্থ উপাদানেত অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
হাইপোগ্লিসেমিয়াঃ জন্মের সময় শিশুগুলি ডায়াবেটিক মাথার হাইপোগ্লিসেমিয়া অবস্থায় হতে পারে, যা জীবনের প্রথম কয়েক সপ্তাহে মায়ের খাবারের গ্রাসের পরিমাণ এর সাথে সমস্যা তৈরি করে।
নিউরোলজিক্যাল সমস্যাঃ গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়াবেটিস হলে শিশুর নিউরোলজিক্যাল সমস্যা উৎপন্ন করতে পারে, যা তার মস্তিষ্কের উন্নতির সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে।
হৃদরোগঃ গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়াবেটিস হলে শিশুর হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি হতে পারে, যা তার হৃদযন্ত্র স্বাস্থ্য এর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ক্যান্সারের ঝুঁকিঃ গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে শিশুর ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি হতে পারে, যা তার স্বাস্থ্য এর প্রবল সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ইনফেকশনের ঝুঁকিঃ গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে শিশুর ইনফেশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি হতে পারে, যা তার সম্পূর্ণ শরীরের স্বাস্থে সমস্যা উৎপন্ন করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ মাথার পেছনে ব্যথার কারণ কি - ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ কি
হেপাটিটিস বি জনিত সমস্যাঃ গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়াবেটিস হলে শিশুর হেপাটিটিস বি বিরোধী ক্ষমতা কম হতে পারে, যা প্রথম কিছু মাসের মধ্যে শিশুর এ সংক্রান্ত প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
লাঙ্গের বা ফুসফুসের এর সমস্যাঃ গর্ভাবস্থায় মায়ের ডায়াবেটিস হলে শিশুর লাঙ্গের সমস্যা হতে পারে, যা তার প্রতিবন্ধী সমস্যাগুলির উপকরণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগটি আরো বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি জনিত সমস্যা সৃজন করতে পারে। একজন মা তার ভিতরে ডায়াবেটিস জনিত সমস্যা থাকলে যেটা তার পেটের শিশুর স্বাস্থের বিভিন্ন সম্ভাব্য রোগ ব্যাধি উৎপন্ন করতে পারে। এজন্য একজন মাকে এক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে এবং একজন দক্ষ চিকিৎসকের সর্বদায় শরণাপন্ন থেকে এ ব্যাপারে সুচিকিৎসা গ্রহণ করে ডায়াবেটিস থেকে নিরাময় নেওয়া জরুরী। কারণ, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে বাচ্চার কি ক্ষতি হয় বিষয়টি মোটামুটি আঁচ করতে পেরেছেন তাই না?
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা যা মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সামগ্রিকভাবে পরিচালনা করা যেতে পারে, যাতে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং জন্মের পরে কোন সমস্যা না হয়।
প্রথমত, খাদ্যের নিয়মিত নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিদিন ডায়াবেটেস মাপা এবং এ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট ও ফাইবার ইত্যাদি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। ডায়াবেটিস ব্যক্তিদের জন্য সুস্থ খাবারের একটি বিশেষ পরিমাণ এবং এ সম্পর্কিত নির্দেশনা অনুসরণ করা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
দ্বিতীয়ত, ব্যায়াম করা খুবই জরুরী, যা গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যকর এবং শিশুর উন্নতির জন্য অত্যাধিক ভালো। প্রতিদিন নির্ধারিত সময় করে উচ্চ এন্টেন্সিটিভ আরোগ্যকর ব্যায়াম করা উচিত। এই শারীরিক চর্চাটা করলে একজন মা তার শিশু সহকারে সুস্থ স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে পারবে।
তৃতীয়ত, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ, তাই নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষার মাধ্যমে স্থিতিশীল রক্তচাপ, শর্করা এবং অন্যান্য প্রতিবেদনের মাধ্যমে বা রিপোর্টের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের প্রবৃদ্ধি বুঝে সেটা অনুযায়ী কি করতে হবে ঐ বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
চতুর্থত, নির্দিষ্ট নিয়মগুলি অনুসরণ করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ, তাই ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনা পরামর্শ পেতে একজন সর্বদা প্রতিনিধি নিয়োগ করে সেটার পরীক্ষা করে দেখা-শুনা করা যায়।
সবশেষে ডায়াবেটিস পরিচালনায় সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। মা, শিশু এবং ডায়াবেটিস চিকিৎসক এর মধ্যে সময়ের মধ্যে যোগাযোগ করা উচিত, যাতে কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে সমাধান করতে কোনো অসুবিধে না হয়। গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস একটি জটিল সমস্যা, তবে সঠিক পরামর্শ, পরীক্ষা এবং যত্নে সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। আপনি এই সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে সুস্থ গর্ভাবস্থায় থাকতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের লক্ষণ
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের লক্ষণ সাধারণত অন্য গর্ভাবস্থার সাথে মিলিত হতে পারে। কিন্তু কিছু বিশেষ লক্ষণ থাকতে পারে যা ডায়াবেটিস বা অধিক রক্তশুগারের শনাক্তকারী হতে পারে, এগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
অতিরিক্ত প্রস্রাবনঃ গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের একটি লক্ষণ হতে পারে একটি অতিরিক্ত প্রস্রবনের অনুভূতি।
বৃদ্ধি করা খাবারের প্রবাহঃ ডায়াবেটিসের রোগীর রক্তের শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি হয়ে থাকলে তারা অধিক খাবারের প্রবাহ অনুভব করতে পারে।
অস্থির প্রেসারঃ ডায়াবেটিসের রোগীর রক্তচাপ সাধারণত স্থায়ী নয় এবং অস্থির হতে পারে।
অস্বাভাবিক থাকার অনুভূতিঃ রক্ত সুগারের উচ্চ স্তরের জন্য ডায়াবেটিসের রোগীরা স্বাভাবিক না থাকতে পারে যা মাঝখানে বা নিদ্রার সময়ে আবদ্ধ অবস্থায় থাকতে পারে।
অস্বাভাবিক ক্লোটিংঃ ডায়াবেটিসের রোগীরা সাধারণত অস্বাভাবিক ক্লোটিং বা রক্ত জমাট বাঁধা এর লক্ষণ অনুভব করতে পারেন।
এই লক্ষণগুলি ডায়াবেটিস সনাক্তকরণের জন্য নির্দিষ্ট নয়, কারণ এই লক্ষণগুলি অন্য স্বাভাবিক গর্ভাবস্থা সমস্যার সাথে মিলে যেতে পারে। তবে যদি গর্ভাবস্থায় এ লক্ষণগুলির কোনটি অনুভব করা হয়, তবে প্রধানত নিয়মতান্ত্রিকভাবে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের জন্য পরীক্ষা করা উচিত। গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ডায়েট চার্ট
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডায়েট চার্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়। একটি সুস্বাস্থ্যকর ও সম্পন্ন পুষ্টিযুক্ত খাবারের পরিমাণ বজায় রাখা গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিক বা তাদের ও তাদের শিশুর সুস্থ রাখতে সহায়ক হতে পারে। নিচে একটি সাধারণ গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডায়েট চার্ট দেওয়া হল।
সকালের নাস্তাঃ
- এক কাপ দুধ (পূর্ণ কৃমি সম্পন্ন)
- একটি ছোট সাইজের ফল (কোমল ফল যেমন- আঙ্গুর, আপেল ও কলা)
- দুইটি ওয়েট রুটি বা তিনটি সিংগার ব্রেড
মধ্যদিনের খাবারঃ
- একটি বৃহত্তর আকারের সাদা রাইস (পরিমাণ মধ্যম)
- হালকা ডাল মসুর ডাল, মুগ ডাল বা মসুর ডাল বা ছোলার ডাল
- এক কাপ সবুজ শাক (সবজি রুটি বা সালাদ হিসেবে)
- একটি ছোট পোষণ পূর্ণ পরিমাণের দুধ
বিকালের নাস্তাঃ
- একটি ছোট সাইজের ফল
- এক কাপ দুধ (ক্রিম সম্পন্ন)
- একটি মিডিয়াম সাইজের পোষণপূর্ণ বিস্কুট
সন্ধ্যার খাবারঃ
- মুগ ডাল বা ছোলার ডালের সুপ
- এক কাপ সবুজ শাকের সালাদ
- একটি মিডিয়াম সাইজের রুটি বা চাপাতি
রাতের খাবারঃ
- একটি ছোট সাইজের প্রোটিন সোর্স (মাংস, মাছ ও ডাল ইত্যাদি)
- দুইটি সবুজ শাক (সবজি রুটি বা সালাদ হিসাবে)
- দুটি রুটি বা চাপাতি
এই ডায়েট চাটে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট ও ফাইবার ইত্যাদি উপযোগী পরিমাণে বিবেচনা করা হয়েছে, যা গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপযুক্ত। তবে রোগীর মেডিকেল অবস্থা এবং ডায়েট পরামর্শ অনুসারে ডায়েট চার্টে পরিবর্তন আনা যেতে পারে। যাতে উচ্চ রক্ত সুগারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা এবং সুস্থ গর্ভাবস্থা প্রতিষ্ঠা করা যায়।
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত থাকা উচিত?
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের সুগারের নিয়ন্ত্রণ রাখা উচিত। গর্ভাবস্থার সময়ে রক্ত সুগারের স্তর নিয়মিত হওয়া উচিত। কারণ, অধিক রক্ত সুগার নিম্ন জন্মগ্রহণের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে এবং মায়ের ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকির উৎস হতে পারে। সাধারণত গর্ভাবস্থায় সুগারের মান প্রতিদিন অনুমোদিত সীমার মধ্যে থাকা উচিত। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে রক্ত সুগারের নিয়ন্ত্রণ রাখা গুরুত্বপূর্ণ এবং তারপরে প্রতি সপ্তাহে বা দৈনিক রক্ত সুবারের মান পরীক্ষা করা উচিত।
এক্ষেত্রে, গর্ভাবস্থার সময়ে ডায়াবেটিসের মামলায় রক্ত সুগারের স্তর নিয়মিত কন্ট্রোলে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য বিশেষভাবে পরামর্শ প্রয়োজন, মেডিকেল প্রফেশনালদের পরামর্শ, ডায়েটশিয়ানদের পরামর্শ এবং নিয়মিত পরীক্ষা। ডায়াবেটিসের রোগীর মামলায় অনুসরণযোগ্য খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম, ওষধ সেবন এবং নিয়মিত মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে রক্ত সুগারের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা সম্ভব।
ডায়াবেটিস হলে বাচ্চা নেওয়ার উপায়
ডায়াবেটিস সমস্যা সম্পর্কে চিকিৎসা প্রত্যেককেই সাবধান হওয়া উচিত। তবে, বিশেষ করে যেই মহিলারা বাচ্চা নেবে, জরুরি ভিত্তিতে তাদের ডায়াবেটিস থেকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। নিম্নে ডায়াবেটিসের ছেলে বাচ্চা নেওয়ার উপায় পাঁচটি পয়েন্টে লেখা হলো-
১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করাঃ যে সমস্ত মায়েরা বাচ্চা নেবে তাদের ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতন থেকে এটি নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি
২. সুস্থ ডায়েটঃ ডায়াবেটিস মামলায় সুস্থ পুষ্টিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা জরুরী। নিয়মিত পর্যাপ্ত পুষ্টি প্রয়োজন, যাতে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য দুটোই ভালো থাকে।
৩. ওষুধ পরিসেবনঃ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে নিয়মিত ঔষধ সেবন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তারের পরামর্শে প্রয়োজনীয় ওষধ নিয়মিত খাওয়া জরুরী।
৪. গর্ভাবস্থা পরীক্ষাঃ গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা করে ডায়াবেটিসের সমস্যা নিশ্চিত করা যায়, নিয়মিত গর্ভাবস্থা পরীক্ষা প্রয়োজন, যাতে যে কোনো সমস্যা আসার আগেই সেটা দেখে মেনটেইন করা হয়।
৫. মেডিকেল পরামর্শঃ ডায়াবেটিসের সমস্যার সম্পর্কে বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ জরুরী। মেডিকেল প্রফেশনালদের পরামর্শ পেতে বা চেকআপ সময় মত করে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
এ সমস্যা সম্পর্কে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন এবং তাদের পরামর্শ অনুসরণ করুন তারা আপনাকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে।
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কেন হয়?
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কিছু প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এটি নিম্নলিখিত হতে পারে। এই কারণগুলো একবার উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো আবারও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি চলুন শুরু করা যাক, আপনাকে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, ঔষধ পরিসেবন করতে হবে, নিয়মিত পরীক্ষা করাইতে হবে, এ বিষয়গুলো মানলেই ডায়াবেটিস কমানো সম্ভব।
ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন কত নিতে হয়?
ডায়াবেটিসের ধরন এবং সাধারণ রোগীর অবস্থা উল্লেখ না করে একটি নিশ্চিত উত্তর প্রদান করা সম্ভব নয়। ডায়াবেটিসের বিভিন্ন ধরনের এবং রোগীর চিকিৎসায় ইনসুলিনের প্রয়োজনীয় পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে। ডায়াবেটিসের উপর মূল্যায়ন করার পরে চিকিৎসক সাধারণত রোগীর রক্ত সুগারের নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রেসক্রাইব কতটুকু করবেন তা নির্ধারণ করেন।
এই নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রয়োজন হলেও ডায়াবেটিস রোগীর বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে এবং এটি সাধারণত ডায়াবেটিস পরিচালনায় চিকিৎসকের সাথে আলাপের করে তারপর ইনসুলিন নির্ধারিত হয়। এছাড়াও, চিকিৎসা প্রদানের সময় ডায়াবেটিস রোগ চিকিৎসা এবং রোগীর আরো ভিন্ন রোগ অবস্থার পরিস্থিতি বিবেচনা করে। সুতরাং ডায়াবেটিস চিকিৎসা প্রদানের জন্য সঠিক ইন্সুলিন প্রেসক্রাইব করা সব সময় আলোচনা সাপেক্ষে করা উচিত।
পুরুষের ডায়াবেটিস হলে কি সন্তান হয়?
পুরুষের ডায়াবেটিস হলে তার সন্তানের সম্ভাবনা প্রভাবিত হতে পারে। তবে এটি স্বাভাবিকভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি নিয়ে আসে না। ডায়াবেটিসের উপর পরিস্থিতি সন্তানের ঝুঁকি বাড়াতে পারে কিন্তু এটি সহজ বা সামান্য সমস্যা নয়। পিতা ডায়াবেটিস রোগী হলে তার সন্তানের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা হলো প্রায় ছয় থেকে আট ভাগের মধ্যে। তবে যে কোন পুরুষের ডায়াবেটিস বা মায়ের ডায়াবেটিসের কারণে ডায়াবেটিসহ ঝুঁকি বাড়ে।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব - মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব
সন্তানের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিতে কিছু পরিবর্তন করা প্রয়োজন হতে পা। যেমন পরিবর্তনীয় খাবারের নিয়ম-তান্ত্রিকতা এবং সন্তানের ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য পরীক্ষা জরুরী। সর্বোপরি, ডায়াবেটিসের পিতার সন্তানের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি আছে। তবে, এটি সাধারণভাবে অন্য পরিবারের ডায়াবেটিস রোগীদের সন্তানের ঝুঁকির মত নয়। তারপরেও ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক উত্তর দেখতে অনেকটা জরুরী ভিত্তিক চিকিৎসা ও সতর্কতা প্রয়োজন।
সিফাতুল্লাহ্ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url